Thursday, June 4, 2020

সম্মানিত কাস্টমারদের জন্য নির্দেশনা

পার্সেল রিসিভের আগেঃ
  • যে কুরিয়ারে আপনার পার্সেল পাঠানো হয়েছে, সেই কুরিয়ার থেকে এস,এম,এস বা ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে! 
  • পরিবহণ বা টেকনিকাল কারণে ১ দিন দেরী হতে পারে জানাতে! সেক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তবে ১ দিনের বেশি দেরী হলে গুগল থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের কন্টাক্ট নাম্বার নিয়ে খোঁজ নিতে হবে।
  • কুরিয়ার সার্ভিসে অনেক সময় আপনার নাম ভুল করতে পারে! এইটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই! কন্টাক্ট নাম্বার ঠিক থাকলেই হবে!
  • কুরিয়ার সার্ভিসে যেয়ে বলবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম এসেছে! নাহলে তারা বুঝবে না!

পার্সেল রিসিভের সময়ঃ
  • প্রত্যেক পার্সেল সাধারণত ঝুড়ি বা ডালিতে করা হয়! তাই ভালোমতো চেক করে নিবেন যে সেইটা আপনারই পার্সেল কিনা! ভুল পার্সেল নিয়ে ইতোমধ্যে এর আগে অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েছে!
  • পার্সেলে 'চাঁপাই ম্যাংগো' লোগো দেয়া থাকে! দেখে নিবেন এইটা লাগানো আছে কিনা!



পার্সেল রিসিভের পরেঃ
  • পার্সেল রিসিভ করার পর সংরক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়! তাই বাড়িতে পার্সেল নিয়ে যেয়ে ঝুড়ি খুলে ফেলবেন। এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আছে। আমের গায়ে ভেজা বা আদ্র ভাব দেখলে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে তা আদ্রতা মুক্ত করতে হবে। ভেজা ঘামযুক্ত আমে এক ধরনের ছত্রাক খুব সহজে আক্রমণ করে। 
  • মেঝের ঠান্ডা আবহাওয়া আমকে আধাপাকা আধাকাঁচা করতে সাহায্য করে, ফলে আমগুলাে খাওয়ার অযােগ্য হয়ে যায়। তাই পরিষ্কার খবরের কাগজ/খড়/পাটের বস্তা/কাঠের তক্তা বা কার্টুন বিছিয়ে তার উপরে এক লেয়ারে আম রাখতে হবে। আম পাকার জন্য গরম এবং শুষ্ক ঘর বেছে নিন। এক্ষেত্রে বদ্ধ স্টোররুম সবচাইতে ভালাে হতে পারে।
  • আম গাছ থেকে পেড়ে এমনভাবে দেয়া হয় যেন পরিবহনে আম নষ্ট না হয়! তাই আম পাকতে ৪-৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে! আবার কিছু আম পরিবহনের সময় পেকে যেতে পারে।
  • আমগুলার মধ্যে কোন আম ক্ষতিগ্রস্ত বা পচা মনে হলে সাথে সাথে সেগুলা আলাদা করে ফেলুন! 
  • আম যেন ফ্যানের সরাসরি বাতাসে বা এসি রুমে না থাকে। এক্ষেত্রে রসালো ফল শুকিয়ে যেতে পারে।
  • পরিশেষে প্রতিদিন আম চেক করুন পেকেছে কিনা! ভালোমতো না পাকলে আম টক লাগবে খেতে!
  • আম সব একসাথে পেকে গেলে নরমাল ফ্রীজে রেখে দিন আম অনেক সুন্দর থাকবে এবং ইচ্ছামতো বের করে খেতে পারবেন!


আমে যেহেতু কোন ধরনের সংরক্ষণকারী মেডিসিন নাই তাই তাড়াতাড়ি পচে যাবে! তাই পাকার সাথে সাথেই আম খেয়ে ফেলুন। পাকা আম রেখে দিবেন না। প্রাকৃতিক স্বাদ উপভোগ করুন। পরিবারের সকলের জন্য চাঁপাই ম্যাংগো সম্পূর্ণ নিরাপদ।

Thursday, July 6, 2017

আমের গুণাবলী




ফলের রাজা আম।আসুন আমরা জেনে নেই ফলের রাজা আমের ১৭ টি অসাধারন গুনাবলী।


পূষ্টি তথ্য

এককাপ আমে (২২৫ গ্রাম) আপনি পাবেন ১০৫ ক্যালরি।এছাড়াও পাবেন ৭৫ শতাংশ এ্যান্টিআক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধী ভিটামিন সি এবং ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ।১১ শতাংশ ভিটামিন বি সিক্স ও ভিটামিন বি যা আপনার মস্তিস্কে হরমোন বৃদ্ধি করবে এবং হৃদরোগ কমাতে সহায়তা করে। আছে ৯ শতাংশ প্রবায়োটিক ফাইবার। আরও আছে ৭ শতাংশ কপার,যা রক্তে লোহিত কনিকার উৎপাদন বাড়ায় এবং আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

১.ক্যানসার প্রতিরোধী

ক্যুয়েরসেটিন,আইসোক্যুয়েরসেটিন,অ্যসট্রাগালিন,ফিসেটিন,গ্যালিক এসিড ও মিথাইলগ্যালেট সম্বৃদ্ধ এ্যান্টিআক্সিডেন্ট থাকার কারনে আম ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।বিশেষত কোলন,ব্রেস্ট ক্যানসা্‌র,লিউকেমিয়া ও প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে আম বেশ কার্যকর।

২.কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে

আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি,পেকটি্‌ন ও ফাইবার বা আশঁ। এই উপাদানগুলো আমাদের রক্তে কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পটাশিয়াম আমাদের হৃদপিন্ডের স্পন্ধন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক।

৩.ত্বক পরিষ্কারক

আম ত্বক পরিষ্কারেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।মুখে ব্রনের কারনে সৃষ্টি গর্ত ঠিক করতে পাকাঁ আম কার্যকর।আম পাতলা করে কেটে ১৫/২০ মিনিট মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে এবং মুখের গর্ত ভরাটে সহায়তা করবে।

৪.দেহে ক্ষারীয় উপাদানের সরবরাহ

আমে আছে টারটারিক এসিড ও ম্যালিক এসিড।এই উপাদান সমূহ প্রাথমিক ভাবে আমাদের দেহে ক্ষারের পরিমান নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

৫.আম ওজন কমাতে সাহায্য করে

বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও অন্যান্য পূষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ আম আমাদের ওজন কমাতেও সহায়তা করে।উচ্চ আশঁ সম্বৃদ্ধ আম হজম শক্তি বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

৬.ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রন

আমের পাতা হালকা সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিয়ে সকালে সেই পানি পান করলে ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।আম লো গ্লাইসেমিক সম্বৃদ্ধ (৪১-৬০),তাই ডায়বেটিক রোগীরা আম খেলেও খুব বেশী ব্লাড সুগার বাড়ার আশংকা কম।

৭. যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা

পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা ও সেক্স হরমোন বৃদ্ধির জন্য আম কে লাভ ফ্রুট হিসেবেও ডাকা হয়!

৮.চোখের যত্নে আম

আমে অনেক ভিটামিন এ আছে এবং তা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভাল করে।এছাড়াও আম রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৯.হজমে সহায়ক

আমের উচ্চগুন সম্পন্ন ভিটামিন ও প্রি-বায়োটিক ডায়েটারি ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

১০.হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে

প্রচন্ড গরমে আমের রস আপনার দেহ কে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

১১. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমের ভেতরে থাকা আসাধারন পূষ্টিগুন সম্পন্ন ভিটামিন সমূহ এবং এ্যান্টিআক্সিডেন্ট আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

১২.বডি স্ক্রাব

পাকা আম,মধু এবং দুধ ব্যবহার করে পেষ্ট তৈরি করুন।পেষ্টটি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহৃত করলে ত্বক নমনীয় ও কোমল হবে ।

১৩.স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে

আমে আছে গ্লুটামিন এসিড যা আমাদের স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।ছোট শিশুদের কে নিয়মিত আম খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

১৪.দেহে উচ্চ আয়রন বা লৌহ সরবরাহ করে

মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের যোগান দেয় আম।এজন্যই আম এনিমিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

১৫.কিডনী পাথরের বিরুদ্ধে কার্যকর

চাইনিজ সনাতন চিকিৎসায় আমকে কিডনী পাথর দূরীকরনে ব্যবহার করা হয়।আমের টক-মিষ্টি স্বাদ এবং দেহকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতার কারনে এটা কিডনীতে পাথর হওয়া রোধ করে।

১৬.সুষম নাস্তা

আম একটি পূষ্টিকর সুষম ফল।নাস্তায় অস্বাস্হ্যকর ডুবো তেলে ভাজা খাবার বাদ দিয়ে নিয়মিত আম খান।মজা পাবেন ষোল আনা আর স্বাস্হ্যের জন্য অত্যন্ত আর্দশ খাবার।

১৭.পাকস্হলির টনিক

আমের পাতা পাকস্হলির টনিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।রাতে ১০/১৫ টি আম পাতা কুসুম গরম পানিতে সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন।সকালে মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়মিত পান করুন, পাকস্হলির টনিক হিসেবে কাজ করবে।

ফলের-রাজা আম


ফলের রাজা আম। আম খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্বের সব দেশে আম নেই, কিন্তু একবার যে এই আম খেয়েছে তার পক্ষে একে ভোলা সম্ভব নয়।




আমের ইতিহাস

এ ভূভাগের প্রিয় ফল আম বিশ্বের অন্যত্রও নিজেকে বিকশিত করেছে। প্রখ্যাত চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং ৬৩২ থেকে ৬৪৫ সালের মধ্যে এ অঞ্চলে ভ্রমণে এসে বাংলাদেশের আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করে তোলেন। মোগল সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫) ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় এক লাখ আমের চারা রোপণ করে এ উপমহাদেশে প্রথম একটি উন্নত জাতের আমবাগান সৃষ্টি করে আমকে আরো উচ্চতর আসনে বসান।

জানা যায়, ১৯৪৫ সালের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট আম উৎপাদনের বেশির ভাগ এ দেশে উৎপাদিত হতো। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ আম উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে ছিল। ভারত, মেলাঙ্কা ও ব্রাজিলের পরই ছিল এ দেশের স্থান। এখন বাংলাদেশের স্থান ১৫-১৬টি দেশের নিচে। আম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কৃষক, গৃহস্থর পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে আমের প্রচলন হয় খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম-চতুর্থ শতাব্দী থেকে এবং চাষাবাদ শুরু হয় আরো পরে খ্রিষ্টাব্দ দশম শতাব্দী দিকে।

বাংলাদেশে আম

বাংলাদেশে যেসব ফল উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আমের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। আমের নানাবিধ ব্যবহার, স্বাদ-গন্ধ ও পুষ্টিমাণের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে পরিচিত। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু, আবহাওয়া সবই আমচাষের উপযোগী। দেশের প্রায় সব জেলায়ই আম ফলে। এমনকি উপকূলীয় লবণাক্ত ভূমিতেও এখন মিষ্টি আমের চাষ হচ্ছে। পার্বত্য জেলার জুমচাষ এলাকায়ও উন্নত জাতের আম ফলছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, যশোর আমচাষের শীর্ষে অবস্থান করছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩২ হাজার হেক্টর অর্থাৎ ৭৮ হাজার ১৯৫ একর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর ফলন হচ্ছে আট লাখ দুই হাজার ৭৫০ টন। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। আর আমচাষের এলাকা তো প্রতিবছরই বাড়ছে। উৎপাদনও বাড়ছে। আর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের মাথাপিছু আম উৎপাদনের পরিমাণ দেড় কেজির মতো। ভারতে মাথাপিছু ১১ কেজি, পাকিস্তানে ৬ কেজি, মেলঙ্কাতে ৯ কেজি, ফিলিপাইনে ৬ কেজি, তানজানিয়ায় ৭ কেজি, সুদানে সাড়ে ৭ কেজি, জায়ারে ৫ কেজি এবং হাইতিতে ৫৫ কেজি।

কত রকম আম!

পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ ধরনের আম রয়েছে। কত রকম আমই না আমরা খেয়ে থাকি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীর আম হল সত্যিকার অর্থে ‘ফলের রাজপুত্তুর’। এখানকার আমের মধ্যে সেরা হলো ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষীরসাপাতি (গোপালভোগ), হিমসাগর, লক্ষণভোগ, মোহনভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই। আছে রানীপসন্দ, বেগম পসন্দ, বাদশাপসন্দ,  বিশ্বনাথ, বউ ভোলানী, ডাব, মনোহরা, আপেল, ময়ূরপঙ্খি, আলফানসো। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে একটি ছোটখাটো তালিকা তুমিও করতে পারো। এর মধ্যে সব আমাদের দেশে হয়তো নেই। তবে নামের বেলায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমা নেই। যেমন বাদশাহী, আলমশাহী, বৃন্দাবনী, দিলশাদ, কোহিনূর, কোহেতুর, ওয়াবজান, হায়াত, বড় শাহী, ছোট শাহী। দিলখোশ, ফেরদৌসপসন্দ, সুলতানপসন্দ, বোম্বাই ও গোলাবখাস প্রভৃতি আম নবাবগঞ্জ, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এলাকায় হয়। নবাবগঞ্জের পুবে  রাজশাহীতেও এর অনুকরণে নাম আছে। রাজশাহী ও নবাবগঞ্জে তাই আছে ক্ষীরসাপাতি, বোম্বাই ক্ষীরসাপাতি, সর ক্ষীরসাপাতি, ছোট ক্ষীরসাপাতি, কোহেতুর, জাফরান, মোহনভোগ প্রভৃতি। তারপর হিমসাগর, ক্ষীরসাপাতি, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, আষাঢ়ী, শ্রাবণী, ভাদুরিয়া, লম্বা এবং আশ্বিনী প্রভৃতি। কতই না চমৎকার সব নাম! যেমন বিসমনী, ভরত, বিড়া, ভোজ, বৃন্দাবনী, বাবুই ঝাঁকি, বাতাস, চম্পা, চকচকি, চাপাতি, দুধসর, দ্বারিকা, দুধকুমার, দুধভোগ, আক্কেল গরম, ডায়মন্ড, নীলম, দোকশলা, বারোমাসি, কাঁচামিঠে, মিছরীভোগ, মিঠুরা, তোতাপুরী, কপটভাঙ্গা, হাতিঝুল, অরুনা, সুবর্ণরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, কেন্ট, পাহুতান, ত্রিফলা  ইত্যাদি। এ ছাড়া আরও আছেÑ কোলোপাহাড়, ফারীয়া, লতা, তোতা ফজলি, চিনি ফজলি, মালদহ, গৌরজিৎ, কিষাণভোগ, কালিভোগ, শিকাভোগ, সীতাভোগ, মিছরিভোগ, চিনিভোগ। আরও কত ভোগ যে আছে! আবার ল্যাংড়ার মধ্যেও আছে নানা নাম। এই যেমন ল্যাংড়া, হাজি ল্যাংড়া, কাশীর ল্যাংড়া ইত্যাদি। আরও নানা নামের ল্যাংড়া আছে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানে গিয়েও সব নাম লেখা সম্ভব নয়। একটা কথা বলে রাখি, যত গাছপাকাই হোক না, ওই গাছপাকা আম আরও তিন দিন রেখে খেলে তবেই আমের আসল ও মধুর স্বাদ পাওয়া যাবে। তখন আম হবে সত্যিকার অর্থে অমৃত ফল।

বাংলাদেশে আবার উন্নত জাতের গবেষণাগারে উদ্ভাবিত আম হল বারি-১, বারি-২, বারি-৩ এবং বারি-৪। এখন নতুন যোগ হয়েছে আম্রপালি ও মল্লিকা। দিনাজপুরের সূর্যপুরীও বিখ্যাত।
উৎকৃষ্ট জাতের আম স্বাদে-গন্ধে খুবই আকর্ষণীয়। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আমের বর্ণনা দেয়া হলো :
ফজলি আম : আকারে বড় ও স্বাদ-গন্ধে অতুলনীয় ফজলি আম সাধারণত আষাঢ় মাস থেকেই পাকতে শুরু করে। ভারতের মালদহ জেলার ফজলি আমের জাত সুখ্যাত। আমাদের দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে ফজলি আমের চাষ হয় প্রচুর। এই ফজলি আম একটু আগাম জাতের। এগুলোই বাজারে আসে প্রথম। আষাঢ়ের প্রথম পর্যায়ে। রাজশাহীর ফজলি শেষ হলে আসতে থাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি।

ফজলি আম আগে ‘ফকিরভোগ’ বলে পরিচিত ছিল। কথিত আছে, ফজলি বিবি নামে এক বৃদ্ধার বাড়ি থেকে প্রথম এই জাতটি সংগৃহীত হয়েছিল। তিনি বাস করতেন বাংলার স্বাধীন সুলতানদের ধ্বংসপ্রাপ্ত গৌড়ের একটি প্রাচীন কুঠিতে। তার বাড়ির আঙিনায় ছিল একটি পুরনো আমগাছ। তবে এটি কোন্ জাতের, সে বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না তার। ফজলি বিবি গাছটির খুব যতœ নিতেন। গাছটিতে প্রচুর আম ধরত। আমগুলো যেমন আকারে বড়, তেমনি সুস্বাদু। সেখানকার নির্জনবাসী ফকির-সন্ন্যাসীদের তিনি এই আম দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। সে জন্য ফজলি বিবি এই আমের নাম দিয়েছিলেন ‘ফকিরভোগ’।

ব্রিটিশ যুগে মালদহের কালেক্টর র‌্যাভেনশ একবার অবকাশ যাপনের জন্য ফজলি বিবির কুঠির কাছে শিবির স্থাপন করেছিলেন। সাহেব আসার খবর পেয়ে ফজলি বিবি ফকিরভোগ আম নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। র‌্যাভেনশ সাহেব আম খেয়ে অত্যন্ত মুগ্ধ হন। ফজলি বিবির আতিথেয়তায় এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তিনি ওই আমের নামটিই রেখে দেন ‘ফজলি’। তখন থেকে এই নাম মানুষের মুখে মুখে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আমের মধ্যে ফজলি জাতটি বড় আকারের। আমের ওজন ৫০০ থেকে ১২৫০ গ্রাম পর্যন্ত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফজলি আম গড়ে লম্বায় ১৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, পাশে ৯ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন গড়ে ৬৫৪ দশমিক ৪ গ্রাম হয়। আমটি দীর্ঘ এবং কিছু চ্যাপ্টা। পাকা আমের খোসা কিছুটা হলুদ হয়ে ওঠে। শাঁস হলুদ, আঁশবিহীন, রসালো, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি। খোসা পাতলা। আঁটি লম্বা, চ্যাপ্টা ও পাতলা। ফজলি আমের গড় মিষ্টতা ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

ফজলি আম নাবি জাতের। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পাকে। মুকুল আসা থেকে পাকা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ মাস সময় নেয়। ফল পাড়ার পরে সাত-আট দিন পাকার জন্য সময় নেয়। ফলন প্রায় নিয়মিত। একটি পরিণত গাছে গড়ে প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৬০০ আম ধরে।
ফজলির আরেকটি জাত হলো ‘সুরমা’। প্রচলিত নাম ‘সুরমা ফজলি’। এটি আকারে একটু ছোট। তবে স্বাদে উৎকৃষ্ট। বাঘা ও চারঘাট এলাকায় উন্নতমানের ফজলি আম ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে আসছে। অবিভক্ত ভারতে বাঘার ফজলি আম কলকাতার বাজারে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ছিল। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের চেয়ে আকারে অনেকটা ছোট হলেও স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। ইদানীং নওগাঁ জেলার বদলগাছি ও ধামইরহাট এলাকায় ‘নাক ফজলি’ নামের আরেকটি জাতের চাষ হয়ে থাকে। এ ছাড়া দিনাজপুরেও ফজলি আমের চাষ হয়।

ল্যাংড়া আম : আকবরের বাগানের আমের জাত ছিল ল্যাংড়া। দাঁড়ভাঙা ল্যাংড়া বলে পরিচিত এ আম একপর্যায়ে বাংলাদেশে চলে আসে। এখন যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রচুর দাঁড়ভাঙা ল্যাংড়ার চাষ হচ্ছে। ল্যাংড়া আমের আদি নিবাস ভারতের বেনারস। কিংবদন্তি আছে, সেখানকার এক ল্যাংড়া ফকিরের নামে এ আমের নামকরণ করা হয় ল্যাংড়া। এই আম ঋতুর মাঝামাঝিতে (জুনের শেষাংশ থেকে জুলাই) পাকে।

গোপালভোগ : চমৎকার স্বাদের একটি আম। শাঁস গভীর কমলাভ। ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৩২৫ গ্রাম। এটা আশু জাতীয় এবং জুন মাসে পাকে।

কিষাণভোগ : জুন-মধ্য জুলাইয়ে পাকে অর্থাৎ মধ্য মৌসুমি ফল। খেতে খুব স্বাদ।

খিরসাপাতি : আকারে গোপালভোগ অপেক্ষা সামান্য ছোট। খেতে খুব মিষ্টি ও ছোট আঁটিবিশিষ্ট। শাঁস হলুদাভ বাদামি। এটিও আশু জাত অর্থাৎ জুনে পাকে। থোকায় থোকায় ফল ধরে। ঘরে রাখা চলে।

হিমসাগর : হিমসাগর মাঝারি আকারের ফল। এ ফল ওজনে ৩৭৫ থেকে ৫০০ গ্রাম হয়। জুন-জুলাই মাসে পাকে। ফল রসালো, মিষ্টি ও আঁশবিহীন এবং আঁটি ক্ষুদ্রাকায়। এর ত্বক মাঝারি পুরু। মিষ্টতা ও সংরক্ষণশীলতার দিক থেকে অপূর্ব!

কোহেতুর : মাঝারি আকারের এ ফল প্রায় ২৫০ গ্রাম ওজনের হয়। এটি মূলত রাজশাহীর আম। শাঁস রসালো, সুমিষ্ট, কোমল। পাকে জুন-জুলাইয়ে অর্থাৎ এটি মধ্য-মৌসুমি ফল।

মোহনভোগ : ওজন ২৭৫-৬২৫ গ্রাম হয়। গোলাকার ধরনের ফল। মাঝারি-নাবী জাত।
গোলাপ খাস : ২৫০ থেকে ৩৭৫ গ্রাম ওজন। আশু জাত। মে-জুন মাসে পাকে।

সামার বাহিশত চৌসা : এটি মাঝারি আকারের আম। এর কাঁধ সমান, ঠোঁট স্পষ্ট এবং শাঁস হলুদ ও খুব মিষ্টি। এটিও নাবী জাত, জুলাই-আগস্টে পাকে।

আশ্বিনা : সবচেয়ে নাবী জাত। পাকে জুলাই-আগস্ট মাসে।

আলফানসো : সবচেয়ে দামি ও জনপ্রিয় আম আলফানসো। গাছ মাঝারি আকৃতির। আম গোলাকার। পাকলে হলুদ হয়। শাঁসও হলুদ। সুগন্ধ আর স্বাদের জন্য বিশ্বখ্যাত। কোনো আঁশ নেই। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরসহ আরো কয়েকটি স্থানে আলফানসো ফলে। ভারতের মহারাষ্ট্রের রতœাগিরির আলফানসো সবার সেরা। স্থানীয় ভাষায় এ আমকে বলা হয়, ‘কাকডি হাপুস’। এর অর্থ, কাগজের মতো পাতলা খোসা। পাকা আলফানসো হাতে এক মিনিট রাখার পর এর সুগন্ধ হাতে লেগে যায়।

মজার আম রাঙ্গু : মিয়ানমারের জনপ্রিয় আম। দেখতে আকর্ষণীয়, খেতে সুস্বাদু। তিন বছরের আঁটির চারায় প্রচুর আম ধরে। একটি আঁটি থেকে চার-পাঁচটি চারা হয়। তিন বছরেই ফল আসে। খুব মিষ্টি আম এটি। শাঁস কমলা। খোসা খুবই পাতলা। মিয়ানমার ছাড়াও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় এ আমের চাষ হচ্ছে। আঁটি ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর বাদামের মতো খোসা ছাড়ালে ভেতরে চার থেকে পাঁচটি শাঁস পাওয়া যায়। প্রতিটি শাঁস থেকে চারা বের হবে। টবেও চাষ করা যায় রাঙ্গু। এ আমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিটি আমের বুক চেরা। ওজন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণাকেন্দ্র এ আম নিয়ে গবেষণার পর বারি-৮ নামে এটিকে মুক্তায়িত করেছে।

রঙিন আম : অনেক প্রকার রঙিন আম আছে। যেমন আপেল আম। এটি ঠিক আপেলের মতো দেখতে। বিশ্বব্যাপী রঙিন আমের চাহিদা বেশি। বউভুলানি রঙিন আম। গোলাপ খাসও রঙিন। একসময়ের সিঁদুরে আমটি আর দেখা যাচ্ছে না। গবেষকরা রঙিন আম নিয়ে এখন বেশ আগ্রহী। সাতক্ষীরা এলাকায় একটি জাতের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি দেখতে লতা আমের মতো, আপেলের মতো রঙ।

বারো মাসে আম

একসময় আমের চারা আমগাছে ঝুলিয়ে জোড় কলম তৈরি করা হতো। এ পদ্ধতি খুবই জটিল। এখন আমের কলম তৈরি করা খুবই সহজ। যেকোনো আঁটির আমের এক-দুই বছরের শক্ত-সতেজ চারাকে অতি সহজেই উন্নত জাতের আমে রূপান্তর করা সম্ভব। উন্নত জাতের ডালের মাথা ‘সায়ন’ সংগ্রহ করে আঁটির চারার মাথায় বসিয়ে দিলেই হলো। চার থেকে ছয় ইঞ্চি সায়নের দুই দিকে তির্যক করে কেটে আঁটির চারার মাথা কেটে এরপর কাটা মাথা ফেঁড়ে ওই সায়ন বসিয়ে পাতলা পলিথিন দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এরপর আরেকটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে নতুন সায়নে পাতা গজাবে। এরপর পলিথিন খুলে দিলেই আঁটির চারাটি উন্নত জাতের আমে পরিণত হবে। বর্ষা মৌসুমে ওই চারা নির্ধারিত স্থানে রোপণ করে পরবর্তী যতœ ও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। গোবর সার মাটিতে মিশিয়ে চারা রোপণ করে একটি অবলম্বনের সাহায্যে চারাটি বেঁধে দিতে হবে। খরা মৌসুমে সেচ আর বর্ষা মৌসুমে আগে ও পরে সার দিতে হয়।

সম্ভাবনা

বাংলাদেশে উৎপাদিত আমের মান খুবই উন্নত। এ আম বিদেশে রফতানি করেও প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে আরব আমিরাত, আবুধাবি, দুবাই, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, ইতালি, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ থেকে ফজলি, হিমসাগর এবং ল্যাংড়া জাতের আম রফতানি হলেও আরও অনেক দেশে এর রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন আম আছে যা অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি। আবার এমন টক আম আছে যা ভীষণ টক। এই আম হলো বৈজ্ঞানিক নামেÑ সিলভাটিকা রকসবা। আর খাওয়ার উপযুক্ত আমের বৈজ্ঞানিক নাম গধহমরভবৎধ রহফরপধ.

ইংরেজদের আগে পর্তুগিজ আলম থেকে এদেশে শত শত বছর ধরে পশ্চিমারা আমাদের আমলের আমের প্রশংসা করে বিস্তর লেখালেখি করে গেছেন। ওই যে সেই বাদশা অসময়ে আম খেতে চাইলে নিরুপায় হয়ে উজির এক কাণ্ড করেন। কারণ বাদশার আম খাওয়ার রোগ না হয় সারবে না। বাদশা অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে রাজ্যের সর্বনাশ! তাই উজির উপায় না দেখে, নিজের দাড়িতে তেঁতুলের একটু টক ও চিনি মিশিয়ে বাদশাকে চুষতে দেন। ব্যস, বাদশাও দাড়িকে মনে করলেন আমের আঁশ, আর টক মিষ্টি থেকে পেয়ে গেলেন স্বাদ। বাদশার রোগ সেরে গেল, রাজ্যও বাঁচল।
আর ইংরেজ সাহেব এই পাকা হড়হড়ে আম খেতে গিয়ে হাত জামা কাপড় নষ্ট করে ফেললেন। তাই তিনি বললেন, আম খাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো, আমটা নিয়ে বাথটাবে চলে যাওয়া, সেখানে আমটা খেয়ে একেবারে গোসল শেষ করে পরিষ্কার হয়ে চলে আসাই সেরা উপায়। কিন্তু তারাই আবার আমকে বললেন, ‘প্রিন্স অব ফ্রুট’ বা ‘ফলের রাজপুত্তুর’। আর অনেকেই এদেশীয়দের সঙ্গে মনে প্রাণে সায় দিয়ে বলেছেন, আম ফলের রাজা।

Monday, July 3, 2017

আম কেন খাবেন?

মধু মাসের রসালো ফল আম। নানান পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর জাদুকরী ক্ষমতা আছে। ওজন কমাতে সাহায্য করে আম। শরীরের ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। পাকা ফল হিসেবে আমের যেমন চাহিদা আছে তেমনি কাঁচা আমও উপকারী। গরমের ক্লান্তি কাটাতে খেতে পারেন কাঁচা আমের ভর্তা কিংবা শরবত। জেনে নিন আম কেন খাবেন।
১. তিনটি মৌলিক কারণে আমাদের আম খাওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, আম স্থানীয় ফলঃ স্থানীয় যেকোনো কিছু আমাদের শরীরের সাথে পরিচিত। অতএব হলুদ এই ফলটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী। দ্বিতীয়ত, আম মৌসুমি ফলঃ আমাদের শরীরের সুস্থতা অর্জনের জন্য মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। তৃতীয়ত,
জেনেটিক কারণঃ আম কাঁচাও কিংবা পাকা যেভাবেই খান না কেন এটি সুপাচ্য। বছরের পর বছর ধরে আমরা আমরা আম খেয়ে আসছি। তাই এটি আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
২. এবার জেনে নিন আমের পুষ্টিগুণ। আম বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। বিশেষ করে হলুদ খাবারে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। এই বিটা ক্যারোটিন আপনাকে নিঁখুত গায়ের রঙ দেবে। আম ভিটামিন সি দিয়ে ভরা। ভিটামিন সি আপনার হাড় এবং জয়েন্টগুলো মজবুত করতে সাহায্য করে।
আমে আছে আঁশ। এই ফলের আঁশ আমাদের পাচনতন্ত্রের জন্য ভাল। তাই আম খেলে  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। আম কোলেস্টেরল হ্রাস করতেও সাহায্য করে।
আম ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ। এটা সকালে বা সন্ধ্যায় আপনাকে স্থূলকায় অনুভূতি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।




৩.
আম সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমাদের। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। নিচে এমন কিছু ব্যাখ্যা দেয়া হলো- ধারণাঃ আম ডায়াবেটিসের জন্য খারাপ
সত্যঃ আম ডায়াবেটিসের জন্য চমৎকার এবং কোন সমস্যা নেই। প্রকৃতপক্ষে, একটি আম প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিক রোগীদের সাহায্য করবে। আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ সমৃদ্ধ। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আম, ‘আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন এবং মেয়ো ক্লিনিক দ্বারা সুপারিশ কৃত।
ধারণাঃ আম ক্যালোরি দিয়ে পূর্ণ
সত্যঃ কেক, বিস্কুট এবং কোমল পানীয় খাওয়ার পরিবর্তে পুষ্টিবিদরা জোর দিয়ে  আম থেকে ক্যালোরি পূরণ করতে সুপারিশ করেছেন। তারা বলেন, আমের পুষ্টিগুলোর একটি ঘনত্ব আছে। এই ক্যালোরি আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।
ধারণাঃ আম মোটা হওয়ার জন্য দায়ী
সত্যঃ আম পুষ্টিকর যা শরীরের ফ্যাটগুলো বার্ন করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলেন, আম মোটা হওয়ার জন্য দায়ী এটা ভুল।
ধারণাঃ আম শরীরে তাপ বৃদ্ধির কারণ

সত্যঃ এটা সত্য আম শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে। তবে এটা প্রতিরোধের জন্য একটি পুরনো উপায় রয়েছে, পানির মধ্যে আম ভিজিয়ে রাখলে এর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাটি এসিড দূর হয়।
আম আমাদের জন্য কতটা ভাল?
আমে খনিজ উপাদান আছে। যার লেপটিপ আমাদের শরীরের ভালো কাজ করে। লেপটিন একটি হরমোন যা আমাদের শরীরের খাদ্য প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। যদি আমরা আম খাই আমাদের মস্তিষ্ক খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শুরু করার একটি সংকেত পায়। পুষ্টিবিদরা আরো ব্যাখ্যা করেন, ‘কীভাবে গ্রীষ্মকালে আম খাওয়া  আমাদের বছরের বাকি সময় খাবার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে’।
তাই দেরি না করে সুস্বাদু এই মৌসুমি ফলটি কোন সংকোচ ছাড়াই আজ থেকে খাওয়া শুরু করুন।



Saturday, June 10, 2017

Service Points

See Our All Service location In Bangladesh



Dhaka (Metro)
  1. Uttara
  2. Kamarpara
  3. Gazipur
  4. Tongi
  5. Savar
  6. Savar EPZ
  7. Kallanpur
  8. Syamolu
  9. Dhanmondi
  10. Banani
  11. Baridhara (Agency)
  12. Nikunjo
  13. 7 Dilkusha
  14. Chamilibag
  15. Jatrabari
  16. Victoria Park
  17. Narayangonj
  18. Kachukhat
  19. Mirpur-10
  20. Tejgoan Upload Point



    Chittagong Zone
  1. Agrabad
  2. Nasirabad
  3. Halishahor
  4. Chittagong EPZ
  5. Kalurghat
  6. Keranihat
  7. Chokoria
  8. Cox's Bazar
  9. Feni
  10. Comilla
  11. Chandpur
  12. Hajigonj
  13. B.Baria
  14. Laxmipur
  15. Chowmuhuni
  16. Noakhali (Maijdi)
  17.  
     
Dhaka (Out)
Barisal Zone
Rajshahi Zone
Sylhet Zone
Rangpur Zone


In a word our service area is all over Bangladesh
     




Saturday, June 3, 2017

Mangoes of Bangladesh

Who does not love mangoes – with their unique flavor, fragrance and texture? The King among Fruit is thriving very well in Bangladesh, thanks to the modern methods of horticulture that are used to nurture the mango trees. Mangoes grow widely all over Bangladesh and there are innumerable varieties to charm the connoisseur. Each variety has its own admirers. Some of the better mangoes are the superior grafted varieties whereas the local or Deshi aam is grown from seedlings.
The main mango growing regions are around Rajshahi, Chapainawabganj and Dinajpur. The better varieties of mangoes have exotic names like Fazlee, Langda, Gopalbogh, Himsagar, Khirsapat, Ashhwina, Khisanbogh, Kuapahadi, Lata Bombai, Foria, Bombai, Kohitoor, Laksmanbhog, Mohanbhog, Misribhog etc. Fazli, Lengra, Gopalbhog and Khisrapat are considered to be the premier varieties – food fit for the Gods! 


Each has its distinctive flavor and arguments about the superiority of one over the other can get very serious. Though these are table varieties, meant to be relished as cut fruit, there are others that are used for making jam, jelly, squash, chutney, and pickle. The raw green mango is even added to a dal or curry to enhance the flavor.
Once only Chapainawabganj was famous for growing mangoes, but huge mangoes are also produced in Rajshahi district. There are over 270 varieties of sweet edible mangoes in the Rajashahi region alone. Newer groves are being set up and high-quality fruit trees have been planted along the boundaries of the paddy fields.
December to February is when the mango trees blossom. These grafted mango plants quickly start bearing blossoms only a year or two after the planting. Mango growers try hard to nurture and support their young trees during this period. If all goes well at this time of the year the growers can expect a bumper crop of mangoes.
Mango is the leading seasonal cash crop of the northwestern region of Bangladesh and dominates the economy in Rajshahi and Chapainawabganj districts. There is no large industry here. Most of the people are employed for different jobs on the orchards such as nursing, harvesting and packing mangoes for transportation during the season every year.

Thursday, June 1, 2017

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ফলের রাজা আম। আর আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম।চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর দেশে উৎপাদিত মোট আমের সিংহভাগই উৎপাদিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কৃষি বিভাগ জানায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়ই উৎপাদিত হয় প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন।





বাংলাদেশে আমঃ বাংলাদেশে যেসব ফল উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আমের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। 
আমের নানাবিধ ব্যবহার, স্বাদ-গন্ধ ও পুষ্টিমাণের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে পরিচিত। 
তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু, আবহাওয়া সবই আমচাষের উপযোগী।
 দেশের প্রায় সব জেলায়ই আম ফলে। এমনকি উপকূলীয় লবণাক্ত ভূমিতেও এখন মিষ্টি আমের চাষ 
হচ্ছে। পার্বত্য জেলার জুমচাষ এলাকায়ও উন্নত জাতের আম ফলছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী,
 দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা,সাতক্ষীরা, যশোর আমচাষের শীর্ষে অবস্থান করছে। 
পরিসংখ্যান বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩২ হাজার হেক্টর অর্থাৎ ৭৮ হাজার ১৯৫ একর 
জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর ফলন হচ্ছে আট লাখ দুই হাজার ৭৫০ টন।  এর মধ্যে 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। আর আম চাষের এলাকা তো প্রতিবছরই 
বাড়ছে। উৎপাদনও বাড়ছে। আর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের মাথাপিছু আম উৎপাদনের
 পরিমাণ দেড় কেজির মতো। ভারতে মাথাপিছু ১১ কেজি, পাকিস্তানে ৬ কেজি, মেলঙ্কাতে ৯ কেজি,
 ফিলিপাইনে ৬ কেজি, তানজানিয়ায় ৭ কেজি, সুদানে সাড়ে ৭ কেজি, জায়ারে ৫ কেজি এবং হাইতিতে
 ৫৫ কেজি। 
বিভিন্ন জাতের আমঃ আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায়। 
এদের মধ্যে সবচেয়ে আগে ওঠে গোপালভোগ। তারপর ওঠে হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত আম। 
এরপর ল্যাংড়া। গাছপাকা ল্যাংড়া আম, দুধ দিয়ে চটকে খেলে এর সুঘ্রাণ হাতের তালুতে লেগে থাকে 
সারা দিন। এভাবে একের পর এক উঠতে থাকে ক্ষীরভোগ, মোহনভোগ, রাজভোগ, রানিভোগ, 
রানিপছন্দ, সিন্দুরা, সুবর্ণরেখা, কুয়াপাহাড়ি, নাকফজলি, ফজলি, চিনি ফজলি, সুরমাই ফজলি, 
চিনি মিসরি, জগৎমোহিনী, রাখালভোগ, রাঙাগুড়ি, গোবিন্দভোগ, তোতাপুরী, মিশ্রিকান্ত, জালিবান্ধা, 
বোম্বাই, ভুতো বোম্বাই, পাহাড়িয়া, গোলাপখাস, কাকাতুয়া, দাদভোগ, চম্পা, সূর্যপুরী, কাঁচামিঠা, 
কলামোচা, শীতলপাটি, লক্ষ্মণভোগ, গোলাপবাস, কিষানভোগ বান্দিগুড়ি, রাংগোয়াই, আশ্বিনা, 
ভাদুরিগুটি, বনখাসা, বউ ফুসলানি, ক্ষীরমণ, দুধসর, রঙভিলা, পারিজা, আনোয়ারা, দিলশাদ, 
আম্রপালি, মল্লিকা, বেগমবাহার, পূজারীভোগ, পলকপুরী, রাজলক্ষ্মী, দুধকুমারী ইত্যাদি। 






























আম বাজারঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় রয়েছে অনেক আম বাজার। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে 
মহানন্দা নদীর ধারে পুরাতন বাজার, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর বাজার,ভোলাহাট উপজেলার 
ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন কর্তৃ্ক ভোলাহাট আম বাজার   ও শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজার 
অন্যতম ৪টি বড় আম বাজার। কানসাট আম বাজার হচ্ছে শুধু মাত্র  বাংলাদেশের  নয় বিশ্বের সর্ব 
বৃহৎ পাইকারী আম বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম । এখানে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ১০০০টির অধিক 
আমের আড়ত।

Wednesday, May 31, 2017

আম চেনার উপায়

আম খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলের মধ্যে আম অনেক সুস্বাদু ফল। আমের খোসা ফেলতেও মায়া হয়। কারণ মনে হয়, খোসার সঙ্গে বেশ কিছু আমও চলে যাচ্ছে।
এখন যেহেতু আমের মৌসুম, তাই প্রত্যেক বাড়িতেই আম খাওয়ার ধুম। তবে রমজান মাস শুরু হওয়ায়, সারাদিনের উপবাসের পর ইফতারে আম থাকা যেন চাই-ই চাই। কিংবা রাতে অথবা সেহরিতে।
আমের প্রতি সকলের এতো টান স্বাভাবিকভাবেই সুস্বাদুর পাশাপাশি আম শরীরের জন্য উপকারিতা হওয়ার দরুনও। কিন্তু যুগটা যেহেতু এখন ভেজালের, তাই বাজারের সব আমই যে গাছপাকা, তা কিন্তু নয়। বরং রাসায়নিক দিয়েও পাকানো হচ্ছে আম।





ফলে আম যেখানে শরীরের জন্য উপকারী হওয়ার কথা সেখানে ফরমালিন, কার্বাইড মিশ্রিত হওয়ায় তা হয়ে উঠছে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আম কেনার সময় সচেতন থাকতে হবে যে, তা রাসায়নিক মুক্ত কিনা। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন? জেনে নিন কয়েকটি উপায়।
* আমের ওপরে মাছি বসছে কিনা দেখুন। রাসায়নিক থাকলে মাছি বসবে না।
* গাছপাকা আম হলে দেখবেন, আমের গায়ে সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হয় ঝকঝকে সুন্দর ও পরিস্কার।
* গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ থাকে। রাসায়নিকে পাকানো আমের গা হয় দাগহীন। কারণ, কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।
* গাছপাকা আমের গায়ের রঙও আলাদা। গোঁড়ার দিকে একটু গাঢ় রঙ। রাসায়নিক দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদে রঙ হয়ে যায়।
* হিমসাগরসহ আরো বেশকিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর।
* আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন। ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে গন্ধ থাকে।

ইফতারে আমের লাচ্ছি (রেসিপি)



আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ বাংলাদেশে কমই আছেন। তাই রমজানে রসনা তৃপ্তিতে খাবারের তালিকায় আমের নাম থাকা খুবই সাধারণ বিষয়। সরাসরি খাওয়া ছাড়াও আম দিয়ে মজার মজার খাবার তৈরি করা যায়, যা ইফতারে দিতে পারে বাড়তি পরিতৃপ্তি।
আমাদের আজকের রেসিপি হল- আমের লাচ্ছি। জিভে জল আনা এ পানীয় থেতে যেমন মজাদার, তেমনি স্বাস্থ্যকরও। এটি নিমিষে আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে। দূর করবে সারাদিনের অবসাদ। আর লাচ্ছিটি তৈরিতে বেশি সময়ও লাগে না।
নিচে লাচ্ছি (তিনজনের জন্য) বানানোর উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী দেওয়া হল-
উপকরণ
- দুধ ১ লিটার
- আমের টুকরো দেড় কাপ
- ভ্যানিলা বা ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের আইসক্রিম ২ স্কুপ
- দই আধা কাপ
- সেদ্ধ পানি আধা লিটার
- বরফ টুকরো ১ কাপ
- চিনি ৩ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুপাতে বাড়াতে পারেন)।
প্রস্তুত প্রণালী
সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। আমের টুকরো ভালোভাবে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত করুন। এবার গ্লাসে ঢেলে বরফ টুকরো দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন। দেখুন কেমন প্রাণ জুড়িয়ে গেল!
প্রয়োজন মনে করলে বাড়তি পানি মিশিয়ে লাচ্ছির ঘনত্ব কমাতে পারেন। পরিবেশনের জন্য আমের কুঁচি বা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। তবে লাচ্ছিটি এমনিতেই দেখতে বেশ সুন্দর।

পাকা আমের যত উপকারিতা

আম কাঁচা অথবা পাকা যে ভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। আম আমাদের শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। জেনে নিন আমের কিছু উপকারিতা-

১. কাঁচা আম ক্যারোটিন ও ভিটামিনএ সমৃদ্ধ,  যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে,  রাত কানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চোখ ভালো রাখে ।
২. আমে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে রাখে সতেজ। ঘুম আসতে সাহায্য করে।
৩. আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিনসি এর পরিমাণ বেশি।
৪. আমে বেটাক্যারোটিন,  ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে,  যেমন, স্তনক্যান্সার,  লিউকেমিয়া, কোলনক্যান্সার, প্রোস্টেটক্যান্সার ইত্যাদি।
৬. আমে খনিজ লবণের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
৭. আমে রয়েছে প্রচুর এনজাইম যা শরীরের প্রোটিনের অণু গুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
৮. প্রতিদিন আম খেলে দেহেরক্ষয় রোধ হয় ও স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ।
৯.আমে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড ও টারটারিক অ্যাসিড যা শরীরে ক্ষার ধরে রাখে ।
১০. কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর হয়, আবার শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকে ।


Monday, May 29, 2017

Price List

1) Gopalvog:  90 tk per kg

2) Himsagar: 100 tk per kg




Note:  1) Courier Charge Free: No extra or hidden Charge
2) For outside of Dhaka extra 5 tk will be added to the price list.
3) Home delivery is only available inside Dhaka. For that you have to pay extra charge.

Updated: 23 May,2018

How To Pay

Pay first before placing any order. Order form click here

Our payment options are here:

bKash: 01717333880

Rocket: 017173338802

DBBL Bank: For this call the hotline.

After any payment please take a confirmation by calling 01717333880

Products

Here are the available products:

1) Gopalvog
2) Himsagor/Khirsapat
3) Amrapali
4) Lengra
5) Fazli
6) Ashin